মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় :
গাজিপুরের দরদরিয়ায় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কার’ / ‘দরদরিয়া দুর্গ বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন আবিষ্কার’ প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)। কাপাসিয়া (গাজিপুর) ১৯ জানুয়ারি ২০২৪: গাজিপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে দুষ্প্রাপ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্র ‘ঐতিহ্য অন্বেষণ’। দরদরিয়া দুর্গ প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও খননে আবিষ্কৃত প্রত্নবস্তুর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ অনুষ্ঠানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মধ্যযুগের ইট-নির্মিত দুর্গ এবং তাৎপর্যপূর্ণ প্রত্নবস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান জানান ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ দরদরিয়া গ্রামের ‘দরদরিয়া দুর্গ বা রানির বাড়ি’ প্রত্নস্থানটিতে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) আজ ১৯ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকেলে দরদরিয়া দুর্গে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও খননে আবিষ্কৃত প্রত্নবস্তুর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য ও পর্যটনকে আকৃষ্ট করার জন্য দরদরিয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের অনেক দেশ পর্যটকদের মাধ্যমে বড় রাজস্ব আয় করছে। প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন আবিষ্কার। আজ আমরা একটা স্বপ্ন স্পর্শ করলাম। এটা একদিন বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। ঐতিহ্য অন্বেষণের সভাপতি ড. নুহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আফরোজা খান মিতাসহ স্থানীয় বক্তিবর্গ। প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি এবং প্রত্নতত্ত্ববিদগণ দুর্গ এলাকা ঘুরে দেখেন। প্রায় আড়াই’শ বছর পূর্বে ১৭৭৯ সালে প্রকাশিত ‘বেঙ্গলঅ্যাটলাসে’ জেমস রেনেল একডালার অবস্থান দেখিয়েছেন কাপাসিয়া অঞ্চলে। প্রাথমিক জরিপে দুর্গের আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফিচার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গিয়েছে। এই মুহূর্তে বহিঃস্থ দুর্গ-প্রাচীর সম্পর্কে ধারণা কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে। বহিঃস্থ দুর্গ-প্রাচীরটিও প্রায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দরদরিয়া দুর্গ প্রাচীনকালে ছিল খুবই শক্তিশালী দুর্গ।
স্বাক্ষরিত/- মো. আলমগীর হোসেন সিনিয়র তথ্য অফিসার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়