সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে কিছু পানি আর প্রায় ২০ /২৫ দিনের খাবার রয়েছে ।

এ জাহাজের মালিক চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেড । মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে 12.03.2024 বাংলাদেশ সময় বেলা ২টার দিকে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজটির সকল নাবিক সবাই বাংলাদেশি।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যারা জাহাজের মধ্য আছে তাদের কে হিসাব করে চলতে হবে ,যতটুকু রস আছে তা রেশনিং করে চলতে হবে, যে পরিমান পানি আছে তা যোদি রেশনিং করে চলে তাহলে প্রায় ১ মাস চলতে পারে। খাবার ও জ্বালানির ও রেশনিং করতে হবে ।

যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকে এমটিও) তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে এ ঘটনা ঘটে। দুটি নৌযানে চড়ে জাহাজটির কাছাকাছি এসে জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা সমুদ্র চলাচলকারী অন্য জাহাজগুলোতে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে বলেছে।

জিম্মি নাবিক আতিকের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় তিনি তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছেন , জলদস্যুদের একটাই দাবি, তারা টাকা পেলে ছেড়ে দিবে না হয় মেরে ফেলবে সবাই কে ।

এরপর বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাহাজটি ভারত মহাসাগর থেকে সোমালিয়া নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে দস্যুরা। বর্তমানে নাবিকদের ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।