** রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রীন কজি কটেজ এ আগুনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন, অনেকের অবস্থা খারাপ শ্বাসনালী পুরে গেছে।

**প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাত পৌনে ১০টায় দিকে ভবনটির নিচ তলার খাবারের দোকানের আগুনে মাত্র দুই ঘণ্টায় পুড়ে ছাই হয় পুরো ভবন।

** ভবনে কোনো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো না। তিনবার নোটিশ দিলেও বাস্তবায়ন করেনি-ডিজি ফায়ার

** র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) : প্রাথমিকভাবে তাই ধারণা করা হচ্ছে , নিচতলায় একটা ছোট দোকান ছিল, সেখান থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়েছে। যেহেতু এ বিল্ডং বেশ কিছু খাবারের দোকান ছিল , সব গুলো দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার ছিল।অধিকাংশ মানুষই ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরোধে মারা গিয়েছেন। ভবনটিতে একটি মাত্র সিড়ি ছিল। ২টি লিফট ছিল।

**স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই কার্বন মনোক্সাইড পয়জনে মারা গিয়েছেন। 

**ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

** কাচ্চি খেতে গিয়ে দুই সন্তানসহ না ফেরার দেশে চলে গেছেন পপি।বইমেলা থেকে বের হয়ে মেয়ে আদৃতা ও ছেলে সংকল্পকে নিয়ে যান বেইলি রোডে কাচ্চি খাওয়ার জন্য।

** কামরুল হাসান হাবিব রকির (২১)। তিনি যশোর সদরের আরবপুর ইউনিয়নের ধোপাখোলা কারিকরপাড়ার কবির হোসেনের ছেলে।পড়াশুনা শেষ করে ঢাকাতে আশেন,গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর তিনি ঢাকায় যান এবং বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে হিসাবরক্ষক হিসেবে যোগ দেন।নিহতের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লাগার পরপরই রকি তার মায়ের মোবাইলে কল করেছিলেন। কথা বলার একপর্যায়ে মাকে বলেন, আমি বোধ হয় এখান থেকে বেরোতে পারবো না। এরপর কল কেটে যায়।

**দিনমজুর বাবার সন্তান নাইম আহমেদ (১৮)। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা জোগাড় করতে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ না করেই ফিরতে হচ্ছে লাশ হয়ে।

**এই আগুনে মারা গেছেন ওই ভবনের একটি রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি জুয়েল। লাশ নিতে এসে তার ভাই বললেন, ‘ওই রেস্টুরেন্টে আমার ভাই জুয়েল বাবুর্চির কাজ করতো। আর ভাগিনা রাকিব ছিল ম্যানেজার। আমার ভাই ভাগিনাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই লাশ হয়েছেন।

**রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে পুড়ে মারা গেছেন লামিশাও।প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। মেধাবী এই শিক্ষার্থীর জীবন হঠাৎ থমকে গেলো এ আগুনে। বাবা পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-১) নাসিরুল ইসলাম হয়ে পড়েছেন বাকরুদ্ধ। 

** ইতালি প্রবাসী ব্যবসায়ী সৈয়দ মোবারক হোসেন তার পরিবার নিয়ে গিয়েছিল রাতের খাবার খাওয়ার জন্য। রাজধানীর মধুবাগ থেকে স্ত্রী স্বপ্না, দুই মেয়ে সৈয়দা কাশফিয়া ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহকে নিয়ে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন মোবারক। আগুনে পুড়ে তাদের সবাই মারা গেছেন।পরিবারটি ইতালিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছিল।পরিবারের আর কেউ বেঁচে রইলো না।

**রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি আতাউর রহমান শামীম নিহত হয়েছেন। তার ব্যক্তিগত সহকারী সাইফুর রহমান রাজন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

**আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শিক্ষার্থী মো. নুরুল ইসলাম।ঢাকা মেডিকেলে দগ্ধ হওয়া এক লাশের পকেটে পাওয়া যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট আইডি কার্ড। মো. নুরুল ইসলামের (সেশন-২০১৮) এই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএর সন্ধ্যাকালীন কোর্সে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের। 

**বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভিকারুননিসা স্কুল এন্ড কলেজের মূল প্রভাতি (৭ম-১০ম) শাখার  সিনিয়র শিক্ষক লুৎফুন নাহার করিম (লাকী) ও তার মেয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্রী জান্নাতিন তাজরীর মৃত্যু হয়েছে।

 **একই পরিবারের তিনজন মারা গেছেন। এর মধ্যে মা ও দুই শিশু রয়েছে।  সে সময় দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ওই ভবনের তৃতীয় তলার একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান নাজিয়া। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্বামীকে ফোন দিয়ে আগুনের ঘটনা জানান। পরে তৃতীয় তলার সিঁড়ি থেকে আয়ানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগুনে নাজিয়া ও আয়তও মারা যায়।

**দ্যা রিপোর্ট এর ইলেকশন কমিশন বিটের রিপোর্টার অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহ শনাক্ত।

রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ আগুনে হতাহতের ঘটনায় স্পীকারের শোক ঢাকা, ০১ মার্চ ২০২৪ খ্রি. বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। স্পীকার নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন।

প্রাথমিকভাবে আমরা দেখতে পেয়েছি ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে ইমারত বিধিমালা লংঘন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্যোগ মোকাবেলায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে- দক্ষিণের মেয়র তাপস।