বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমন এক সময় দিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক সফরে যখন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রায় সব রাষ্ট্রের চিন্তার বিষয় মিয়ানমার পরিস্থিতি। বুধবার দুপুরে ড. হাছান মাহমুদের প্রথম বৈঠকটিও তাই হয়ে উঠল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লির সর্দার প্যাটেল ভবনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে আলোচনায় ঠিক হল, মিয়ানমার পরিস্থিতি দুই দেশ এক সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করবে এবং করণীয় ঠিক করবে।
দুপুরে দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানালেন কি কথা হলো অজিত দোভালের সঙ্গে।
বিকেলে ভারতের জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্যাখ্যা করলেন, কেন মিয়ানমার ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
রাতে হায়দ্রাবাদ হাউজে মূল বৈঠক। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর আন্তরিক স্বাগত জানালেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে। খানিকক্ষণ একান্ত বৈঠকের পর দুই মন্ত্রীর নেতৃত্ব হয় আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
তিস্তার পানি থেকে সীমান্ত, বাণিজ্য থেকে ভিসা-সবই আসে আলোচনায়। গুরুত্ব পায় মিয়ানমার পরিস্থিতি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলসহ অনেক কিছুই।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ব্যস্ত সময় কাটাবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শুক্রবার তাঁর ঢাকায় ফেরার কথা।

রাতে দিকে তিনি আরেকটি মিটিং এ অংশগ্রহণ করেন।।

মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও ভারত। দিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার রাতে এই বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, রমজানে পেঁয়াজ ও ডালের মতো নিত্যপণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। আলোচনা হয়েছে তিস্তা, পদ্মার পানি বন্টন নিয়েও।