স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: কোর্টের রায়ের পর কেন আন্দোলন করছেন, তাদের বোঝা উচিত, রাস্তা বন্ধ হলে চলবে কী করে। কোর্ট তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে বলেছে, তাদের থেকে শুনতে চাচ্ছে। এখন রান্তায় অবস্থান প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তাদের দাবির প্রতি খেয়ার রাখছে, আদালত সুন্দর নিষ্পত্তি করবে বলে আশা।-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্দোলনের নামে এখন জনগণের চলাফেরায় বাঁধা দিয়ে কষ্ট দেয়া হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা জনগনকে জিম্মি করে শক্তি প্রদর্শন করছে। যা মেনে মেনে নেয়া যায়না। বল প্রয়োগ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টির রাজনীতি পরিহার করতে হবে। কোটা ব্যবস্থা বাতিলের পর নারী সমাজ পিছিয়ে পড়েছে। গত ৫ বছরের পরিসংখ্যানে সেটা স্পষ্ট।
মুক্তিযুদ্ধের কোটা নিয়ে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা অযৌক্তিক। কোটা পদ্ধতি বাতিলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা। তাই সব জনগোষ্ঠীর অন্তর্বর্তীকালীন উন্নয়ন বিবেচনায় কোটার দরকার আছে বলে মনে করি। কোন গোষ্ঠী যাতে এমন আন্দোলনের রাজনৈতিক সুবিধা নিতে না পারে। শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছি। সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত ধৈর্য ধরার আহ্বান। আবেগকে পুঁজি করে কেউ ফায়দা নিতে চাইলে সরকার আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেবে। আন্দোলনরত শিক্ষকদের বিষয়টা আলাদা বিষয়। আমরা নজর রাখছি। আশা করছি সে সমস্যার অচিরেই সমাধান হবে।_ওবায়দুল কাদের।
কোটা সংস্কার বিষয়ে হাইকোর্ট ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছে গতকাল। শিক্ষার্থীদের ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি না দিতে আহ্বান করেছিলাম। আদালতের ওপর কোন সম্মান আন্দোলনকারীরা না দেখিয়ে তথাকথিত বাংলা ব্লকেড অব্যাহত রাখছে। বিএনপিসহ কিছু দল কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে পলিটিসাইজ করছে। এটা তারাই শুরু করেছে। শিক্ষার্থীদের রাজনীতির ফাঁদে ফেলে নিজেদের আন্দোলনের ব্যার্থতা ঢাকতে এই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে। সকলের মনে রাখা উচিৎ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ওপর সম্মান দেখাতে হবে। আন্দোলনের নামে এখন জনগণের চলাফেরায় বাঁধা দিয়ে কষ্ট দেয়া হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা জনগনকে জিম্মি করে শক্তি প্রদর্শন করছে। যা মেনে মেনে নেয়া যায়না। বল প্রয়োগ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টির রাজনীতি পরিহার করতে হবে। কোটা ব্যবস্থা বাতিলের পর নারী সমাজ পিছিয়ে পড়েছে। গত ৫ বছরের পরিসংখ্যানে সেটা স্পষ্ট।_ওবায়দুল কাদের।