২০১৮ সালে ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে, হাইকোর্টের দেয়া রায়ের মূল অংশে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা বাড়াতে বা কমাতে পারবে।

কোটা পূরণ না হলে সাধারণ মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ দেয়া যাবে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ, গত ৫ জুন দেয়া রায়ের মূল অংশ আজ বিকালে প্রকাশ করেছেন। কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যে সরকারি চাকরিতে নবম গ্রেড বা প্রথম শ্রেণি ও দশম থেকে ত্রয়োদশ বা দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হাইকোর্ট কোটা বাতিল করে সরকারের জারি করা পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করে, রায়ে বলেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল করতে হবে। একইসঙ্গে সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা, ৫ শতাং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পদ্ধতি রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে হাইকোর্টের রায়ে।