দুর্যোগ আসবেই, কিন্তু বাংলাদেশতা মোকাবেলা করেই টিকে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সম্পদ ও কৃষির নিরাপত্তায় পাশে আছে তাঁর সরকার। দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ শেষে প্রধানমস্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গোপসাগরের সৃষ্টি হওয়া প্রায় সকল ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, রাঙাবালি, কলাপাড়া, আমতলীসহ প্রায় পুরো জেলায়। যদিও টানা ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের উন্নয়নে এক সময়ের পিছিয়ে পড়া এই জেলা এখন পাল্টে যাওয়া উপকূল।
এখনও ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় প্রতি বছরই বসতি হারায় মানুষ, নষ্ট হয় কৃষি-সম্পদ।
সকালে হেলিকপ্টারে করে পটুয়াখালীর ক্ষতিগ্রস্ত পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পরে কলাপাড়ার সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও বঙ্গবন্ধু কন্যাকে এক নজর দেখতে পুরো মাঠ ছাড়িয়ে পুরো জনপদ, তখন কানায় কানায় পূর্ণ।
আনুষ্ঠানিক ভাষণে সরকার প্রধান বলেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ দুর্দশা দূর করতে সব সময় পাশে আছে আওয়ামী লীগ সরকার।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছিলো বলেই উন্নয়ন এর ধারা বাহিক তা রয়েছে, এর আগে অনেক সরকার ছিল কেউ এদিকে দৃষ্টি দেয়নি।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দিন দিন প্রকৃতি আরো সর্বনাশী হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রকৃতিক দুর্যোগ আসবেই, কিন্তু তা মোকাবেলা করেই টিকে থাকবে বাংলাদেশ। তবে যত যাই হোক দুর্যোগ দূরবীপাকে বর্তমান সরকার মানুষের পাশে আছে, থাকবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েই প্রতীকি ভাবে ২০ জনের হাতে ত্রান তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানার পরেই ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন।