দীর্ঘ অপেক্ষার পর স্বজনদের সঙ্গে ঘরে ফিরলেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলমুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক।
বিকেল ৪টায় চট্টগ্রামের সদরঘাটে কেএসআরএম লাইটারেজ জেটিতে তাদের দেখা হয়।
জয়ী যোদ্ধাদের ফেরত আসার গল্প এটি নয়, বরং দেশের বুকে দেশের ছেলেদের নিরাপদে ফেরত আনার সাফল্যের গল্প এটি। শত চেষ্টায়, মায়ের কাছে তার সন্তানকে ফেরত আনার গল্প।
পরিবারের সঙ্গে দেখা, লম্বা একটি সময় পর। কে কাকে কীভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করবেন, তা যেন বুঝতে পারছিলেন না। গত ৬৪ দিনে চোখের পানি অনেক ঝরেছে, ছিলো হাহাকার, উৎকণ্ঠা। প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে আজ সব যেন মুহুর্তে উড়ে গেলো।
১২ মার্চ সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়ার পর দুঃসহ সেই সময়টি সবার বড় কষ্টে কেটেছে। জাহাজ কর্তৃপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্বর্ধনায় মাস্টার ক্যাপ্টেন জানাচ্ছিলেন- সতীর্থদের কান্না – অসহায়ত্ব দেখতে হয়েছে, সইতে হয়েছে কতটা!
রশিদ ভাইয়া জাহাজ কর্তৃপক্ষ নাবিকদের সুরক্ষায় সবচে মনোযোগী ছিলেন, তাই এগিয়েছিলেন বুঝে শুনে। মেহেরুল করিম + শাহরিয়ার (ডিএমডি) + নাবিকদের নিরাপদ এ প্রত্যাবর্তন যেমন তাদের পরিবারের ধৈর্য পরীক্ষার, তেমনি রাষ্ট্রের সুকৌশল ও আন্তরিকতারও পরীক্ষার, যা অবশেষে এমন সুফল দিয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় কুতুবদিয়ায় নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় ছোট একটি জাহাজে চড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছেন ২৩ নাবিক। সম্বর্ধনা শেষে স্বজনদের সাথে ঘরে ফেরেন তারা। তাদের এ ট্রমা নিশ্চয়ই একদিন কেটে যাবে, আবারো তারা সাগরে নামবেন দেশের কাজে।