দীর্ঘ দুই মাসের উৎকণ্ঠা শেষ হলো। এমভি আবদুল্লাহর এ প্রত্যাবর্তন কেবল তার ২৩ নাবিকের পরিবারের নয়, পুরো জাতির কাছেই কাঙ্খিত ছিলো। অনেক শঙ্কা, অনেক অনিশ্চয়তা পেরিয়ে দেশে ফিরলেন তাঁরা। পরিচিত আলো-হাওয়া-জলের ছোঁয়ায় সবাই নির্ভার, স্বস্তিতে।
মহেশখালি থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেলে ঢোকার সময় নাবিকদের উচ্ছ্বাসটা ছিলো দীর্ঘ যাত্রা শেষে বাড়ির উঠোনে পা ফেলার মতো।
এমভি আব্দুল্লাহ দেশের জলসীমায় ঢোকে সোমবার সকালে। কুতুবদিয়ায় পণ্য খালাসে কয়েকদিন লেগে যাবে। এ সময় জাহাজের দায়িত্বে থাকবেন নতুন একদল নাবিক। পুরনোরা একটি লাইটারেজ জাহাজে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম যাবেন। সেখানে সদরঘাটের কেএসআরএম জেটিতে দেখা হবে আপনজনদের সঙ্গে। সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৪ দিন পর স্বজনের মুখ দেখবেন তাঁরা।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে আমিরাত যাওয়ার পথে, ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুরা ছিনতাই করে এমভি আব্দুল্লাহকে। মুক্তিপণ দিয়ে ১৪ এপ্রিল ভোরে ছাড়া পায় জাহাজটি। এরপর আমিরাতে নির্ধারিত বাণিজ্য বিরতি শেষ করে দেশে ফেরা।
২০১০ সালে কেএসআরএম গ্রুপের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মণি-ও সোমালিয়ার জলদস্যুরা ছিনতাই করেছিলো। সেবার ছাড়া পেতে লেগেছিলো ১০০ দিন। এবার অনেক কম সময়ে উদ্বেগজনক এ ঘটনার সুরাহা হওয়ায়, প্রশংসা চলছে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনারও।