আসন্ন ডেঙ্গু মৌসুমে পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ সামন্ত লাল সেন। তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্র্যাক ও ইউএইচসি ফোরাম আয়োজিত ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মশালায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার, জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সমন্বয়ে, সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরী বলেও মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, বিগত সময়ের মতো ডেঙ্গু চিকিৎসায় যাতে স্যালাইন সংকট না হয়, সে কারণে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালগুলোতে যাতে ডেঙ্গু রুগীর শয্যা সংকট না হয় সেদিকেও নজর রাখছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

কর্মশালায় কীটতত্ত্ববিদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার জানান, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা গত বছরের প্রায় দ্বীগুন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ড্রেন ও সুয়ারেজের ময়লা পানিতেও জন্মাচ্ছে এডিস মশা। শুধু দিনে নয়, আলোক দূষণের কারণে, রাতেও এডিস মশার শিকার হচ্ছেন মানুষ। এদিকে বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্-বিআরআইসিএম এর মহাপরিচালক মালা খান কর্মশালায় জানান, তাদের উদ্ভাবিত ডেঙ্গু টেস্ট কিট ডেঙ্গু শনাক্তে প্রায় শতভাগ সাফল্য দেখিয়েছে। দেশেই সরকারি এই ল্যাবরেটরিতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার কিট তৈরির সক্ষমতা তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।