০৬-০৫-২০২৪ খ্রিঃ সুন্দরবনে সংঘটিত অগ্নিদুর্ঘটনার হালনাগাদ সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন

১। অগ্নি দুর্ঘটনার স্থান : চাঁদপাই রেঞ্জ, অম্বরবুনিয়া, মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাট।

২। অদ্য ০৬/০৫/২০২৪ তারিখ অগ্নিনির্বাপণে গৃহীত কার্যক্রম : সকাল ০৫৩০ ঘটিকা হতে লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, এসজিপি, পিএসসি, পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স)-এর নেতৃত্বে অগ্নিনির্বাপণ কাজ শুরু হয়।

৬টি ফায়ার পাম্পের মাধ্যেমে ভোলা নদী হতে পানি নিয়ে পূর্ণ ফায়ার ব্রেক অর্জনের জন্য আর্টিফিসিয়াল ওয়াটার ক্যানেল তৈরি করা হয়। ১১৯টি হোস পাইপে ১২টি ডিভাইডিং-এর মাধ্যমে ম্যানুয়ালি একটিভ ফায়ারফাইট করা হয়।

স্টারভেশন পদ্ধতি অনুসরণ করে বিচ্ছিন্ন ফায়ারসমুহকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। চতুর্দিকে আগুন যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য ফগ ও জেট সিস্টেম করে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা কুলিং করা হয়।

৩। আশপাশের পানির উৎস : ভোলা ও শেওলা নদী।

৪। অগ্নিকান্ডে বর্তমানে নিয়োজিত জনবল (কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ) : জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৩০-৪০ জন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৩০ জন, জেলা পুলিশের ৩০ জন এবং ভলান্টিয়ারসহ স্থানীয় এলাকাবাসী অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন।

৫। সর্বশেষ মন্তব্য : আগুন নিয়ন্ত্রণ অদ্য ০৬/০৫/২০২৪ খ্রিঃ সকাল ১০৩৫ ঘটিকায়। বনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চারপাশে সকল সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে আর কোনো আগুনের ফ্লেম পাওয়া যায়নি। কিছু জায়গায় এখনো সাধারণ ধোঁয়া বিদ্যমান আছে । তবে সেটা সম্পূর্ণ নজরদারিতে ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

৬। আগুন নির্বাপণ ও নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা : বনের সমস্ত জায়গায় অতিমাত্রায় ঘণ জঙ্গল, মরা শুষ্ক পাতা, গাছের শুষ্ক বাকল ও প্যাঁচানো ডাল-পালা। জীবজন্তুর ভয় এবং গাছ-পালা বেষ্টিত অতি ঘণ বনের জন্য ধোঁয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা যায় না। অগ্নিনির্বাপণের দূরবর্তী নদী ছাড়া পানির কোনো উৎস নেই। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সকল ইকুইপমেন্ট হ্যান্ড ক্যারি করে সুন্দরবন এলাকায় নেওয়ার পর নৌকায় স্থাপন করে অগ্নিকান্ড নির্বাপণের কাজ চলছে। পানির উৎস থেকে আগুনের দূরত্ব স্থানভেদে ২ থেকে ২.৫ কিমি। রাস্তায় অতিরিক্ত শ্বাসমূল ও ঘন জঙ্গল থাকায় অগ্নিনির্বাপণকালীন স্বাভাবিক চলাচল কষ্টসাধ্য।

৭। অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম চলছে। আগামী ২-৩ দিন গ্রাউন্ড এনালাইসিস ও ড্রোন দ্বারা তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ করা হবে। অগ্নিনির্বাপণ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের সদস্যগণ একইভাবে মোতায়েন থাকবেন।

৮। আগুন লাগার কারণ ও আগুনের উৎস : তদন্ত সাপেক্ষ।

৯। আগুনে ক্ষয়ক্ষতি : ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার গুল্মলতা ও গাছের বাকল পুড়ে গেছে। তবে সম্পূর্ণ গাছ পুড়ে যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট ও আঞ্চলিক সাধারণ মানুষের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় সবুজায়ন সম্ভব হবে।

ধন্যবাদান্তে লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, এসজিপি, পিএসসি পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর