কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫ টি চুক্তি ও ৫ টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্বরাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান সোমবার, সকাল সাড়ে ১০ টার কিছু আগে। তখন টাইগার গেইটে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশ সরকার প্রধান।

আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে সঙ্গে নিয়ে শিমুল হলে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ৩০ মিনিট একান্ত বৈঠকে অংশ নেন দু’দেশের প্রধান।

এরপর গ্লোবাল হলে আনুষ্ঠানিক ফটোশেষনে করেন এই দুই নেতা। বেলা ১১ টার দিকে চামেলি হলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন কাতারের আমির ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এসময় উপস্থিত দুদেশের মন্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা আলোচনা করেন কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে ১০টি দ্বিপক্ষীয় দলিল স্বাক্ষরের বিষয়ে।

এরপর করবি হলে ৫ টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। দুদেশের প্রতিনিধি স্বাক্ষর করেন দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পরিবহন, উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দুই দেশের মধ্যকার দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর এবং যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি। এসময় শ্রমশক্তি, বন্দর পরিচালনা, উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্র এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত ৫ টি সমঝোতা স্মারক সই করে বাংলাদেশ ও কাতার।

এদিকে বাংলাদেশ ও কাতারের বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি কাতার আমিরের নামে নামকরণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। ভিডিও কনফারেন্সে এ সড়ক এবং মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্কের উদ্বোধন করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।