শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার কনভিকশন বা দোষী সাব্যস্তকরণ ও সাজার রায় স্থগিত করে, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেয়া আদেশ বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেছেন, ড. ইউনূসসহ চার আসামি যতদিন জামিনে আছেন, ততদিন সাজা স্থগিতই থাকবে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের
অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায়, গত পহেলা জানুয়ারি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন আদালত।
এই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চার আসামি। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সাবেক এমডি আশরাফুল হাসান এবং দুি পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
এ অবস্থায় তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের কিছু অংশের বৈধতা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে ক্রিমিনাল রিভিশন করেন মামলার
বাদী কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলে তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারির আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয় গত ১৪ মার্চ। সোমবার রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী
ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী
রায়ে আদালত, যত দ্রুত সম্ভব আপিল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে। দেশের বাইরে গেলে ড. ইউনূসসহ চারজন কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট আদালতকে জানিয়ে যেতে বলেছেন হাইকোর্ট।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী
ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী
সম্প্রতি ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উদ্বেগ জানিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, সে বিষয়টি সোমবার হাইকোর্টের নজরে আনেন।।