কলের গানের বাক্সটা” আইয়ুব বাচ্চুর সুর আর কারুকার্যের লহরী মূর্ছনা। যেখানে ভোর আর গুধুলী আঁধারের রঙ একাকার। ফিরে যাই সে অরণ্যে। স্মৃতিটুকু অটুট এখানে।।

গলির পথ ধরে কলের গানের বাক্সটা, ঘুমভাঙা শহরের অব্যক্ত ঘুম আর ভাঙা হলো না। ধূসর জগতের কোন আলোকময় পৃথিবীতে মিশে গেছে। সুর জগতের মহামায়া ত্যাগের মহিমা চির উজ্জল চির ভাস্বরে চলে গেলেন প্রিয় মুখ খানি।
হেমন্তর শেষে উওরের আকাশ যখন কুয়াশার চাদর মুরি দিয়ে আসে, তখন সাউন্ড বক্স ঘরের জানালা ঠেকিয়ে অথবা বাড়ির কোন নিজর্ন আঙিনায় দাড়িয়ে ঘুম ভাঙা শহরের শুক পাখি ডাকা গান শুনছিলাম। রুপালী গীটারের ৬ তারের কাকন হাসি শব্দে কখনো জেগে উঠেছি বাঁধ ভাঙা উল্লাসে। কখনো দেখেছি কলো সান গ্লাসের আদরে।কখনো বা সুর চাদরের নিঃশ্বাসের ছোঁয়ায়। কখনো বা ক্যাপ ঢাকা সুরের মূর্ছনায়।

প্রায় ৩৪ বছর আগের কথা,সবে মাত্র গীটারের তালিম নেওয়া শুরু করেছি। একদিন শিল্পকলা একাডেমীতে গেলাম একটি গানের অনুষ্ঠানে। এই প্রথম আইয়ুব বাচ্চুকে দেখলাম এবং শুনলাম তার গীটারের সুর বাজাচ্ছিলেন এন্ড্রুকিশোরের গানের সাথে। সেলুকাসীয় অনুভূতি আর রঙিন স্বপ্ন নিয়ে বাসায় ফিরলাম।সেই থেকে গীটার বাজানোর স্বপ্ন সাধনায় বিভোর হলাম। তারপর কেটে গেল ৩ যুগ। আইয়ুব বাচ্চু ভাইকে সামনাসামনি আর দেখা হয়নি। কিন্তু শুনেছি দেখেছি হাজারো গান।এই অনন্ত বাংলায় তার গান বাজবে অনন্ত কাল।আরো কোন নতুন অতিথির প্রাণে। অথবা ঘুম ভাঙা শহরে জাগাবে হাজারো প্রাণের তারুন্য।

লেখক ………ইব্রাহীম খলিল