টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে শেখ হাসিনা শিশুদের সুপ্ত মেধা ও মনোন বিকাশের সুযোগ করে দিতে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, শিশুরা যাতে আনন্দ নিয়ে পড়তে পারে সে লক্ষ্যেই নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করেছে সরকার। সকালে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতিয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

১৯২০ সালে এই টুঙ্গিপাড়া ছিলো ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমায়। প্রত্যন্ত এ গ্রামেই জন্মেছিলেন প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ১০৫তম জন্মদিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই টুঙ্গিপাড়ায় এলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান মো. সাহাবুদ্দিন এবং সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। জাতির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা জানানো হয় বাঙালীর জাতির পিতাকে। এরপর বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাহফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এ সময় দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। জাতিয় শিশু দিবসে বছরই বঙ্গবন্ধুর পৈত্রিক বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। যদিও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিশুদের ঠাই হয়েছে সবার পেছনে। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শিশুদের সেই ক্ষোভ, হাসিমুখে নিজেই তুলে ধরলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সামনে বুড়া শিশুরা। বিশ্বজুড়ে শিশু নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে ফিলিস্তিনে শিশুদের উপর নৃশংসতায় বিশ্ব বিবেক চুপ থাকে কি করে, সে প্রশ্ন শেখ হাসিনার। মানবাধিকার কোথায়? বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে শিশুদের ছোট বেলা থেকে ট্রাফিক আইন, পরিচ্ছন্নতা জ্ঞান ও অন্যান্য সামাজিক শিক্ষার উপর জোড় দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি রাষ্ট্রিয় দিবসগুলো সম্পর্কে শিশুদের স্পষ্ট ধারণা দিতে এবং পড়াশুনাটাকে আনন্দময় করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। জাতীয় শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে নানা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন সরকার প্রধান। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনলেন, শিশুদের কণ্ঠে শোনেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক।