ডিম নিয়ে আমাদের একটা সাধারন ধারনা আছে, ডিম মানে কোলেস্টোরেল ,ডিম খেলে আমাদের শরীররের কোলেস্টোরেল বেড়ে প্রেসার বেড়ে যায়, হার্টে ব্লক হয় ইত্যাদি।

কিন্তু এখন সময় এসেছে এই ধারনা কে ভেঙে দেওয়ার। ডিম খাওয়া শুরু হয়েছিল বহু বছর আগের থেকে,ডিমের সাদা অংশে আছে প্রচুর পরিমানের ভিটামিন,এই সাদা অংশের প্রোটিন যা আমাদের ব্রেন ডেভেলপমেন্ট এ সাহায্য করে,চোখ  – ভিশন নার্ভ সিস্টেম এর জন্য খুবই উপকারী।


ডিমের কুসুম নিয়ে আমরা চিন্তিত থাকি কিন্তু কুসুম এর ভিতর যে ফ্যাট আছে সেটি উপকারী ফ্যাট অর্থাৎ আনসাচুরেটেড ফ্যাট।ডিম থেকে আমরা খুব ভালো মানের প্রোটিন পাই।


আমরা সাধারণ ভাবে বলতে পারি যাদের রক্তে কোলেস্টোরেল নরমাল থাকে বা যাদের কোলেস্টোরেল বেশি থাকে তারা ডিম কিভাবে খাবে ?
যাদের কোলেস্টোরেল নরমাল থাকে তাদের দিন এ একটা বা দুইটা ডিম খেলে সমস্যা হওয়ার কথা না,কিন্তু যাদের কোলেস্টোরেল বেশি তারা একটা করে ডিম খেয়ে  রক্তে লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করবেন তখন খেয়াল করবেন রিপোর্ট এ রেজাল্ট কি আসে,কারন আমাদের সবার শরীর এর কার্যক্ষমতা এক না।যাদের কুসুম সহ ডিম খেলে কোলেস্টোরেল বেড়ে যায় তারা কুসুম ছাড়া শুধু সাদা অংশ টা খেতে পারেন।


কিন্তু যাদের কুসুম সহ ডিম খেলে কোন সমস্যা হয়না অবশ্যই ডিমের মধ্যে যে প্রচুর পরিমানের পুষ্টি উপাদান আছে সে কারনে তা গ্রহন করা উচিত।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরএর পেশী দুর্বল হয়ে যায়,এই পেশী কে সবল রাখতে ডিম খুবই উপকারী ভুমিকা রাখে।মহিলাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ভিটামিন,ক্যালসিয়াম,প্রোটিন এর অভাব দেখা যায় এবং অস্টিওপোরেসিস একটা সাধারন সমস্যা দেখতে পাই।


রক্তে কোলেস্টোরেল এর মাত্রা ঠিক থাকলে তাদের ডিম খাওয়া খুব ই উপকারি ভুমিকা রাখে।
তবে ডিম অবশ্যই আমাদের সিদ্ধ বা ভেজে খেতে হবে না হলে সালমোনিলআ নামের এক ধরনের ডিম বাহিত ইনফেকশন হতে পারে যা ডিমের খোসা থেকে আসে।


সবশেষে আমরা বলতে পারি ডিম থেকে আমরা যে প্রোটিন,ক্যালোরি ,ফ্যাট সব কিছু এক সাথে পাই যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ  এই জন্য দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিম রাখতে হবে ।

picture source – google