যারা ৭ই মার্চের ভাষণ ও জয় বাংলা স্লোগানে বিশ্বাস করে না, তারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করার আহ্বান জানান তিনি। বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁয় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি আহ্বান জানান। স্বাধীনতা এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো। শিমুল মোস্তফার কন্ঠে কবি নির্মলেন্দু গুণের এই কবিতার উচ্চারণ এখন যতটা সাবলীল, স্বাধীন দেশেও ৭৫ পরবর্তী রুদ্ধ সময়ে এই কবিতার প্রকা ততটাই কঠিন ছিলো। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সে কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন দলটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ৭৫ পরবর্তী সময়ে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে… ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত এই ভাষণটির পেছনে বঙ্গমাতার অবদান তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। বাবার পাশে মুড়া পেতে বসলেন শেখ হাসিনা বলেন ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির বঞ্চনা থেকে সংগ্রামের ইতিহাস এই একটি মাত্র ভাষণেই স্বাধীনতার সংগ্রামের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা পায় বাঙালি জাতি। এই ভাষণের প্রত্যেকটি লাইন এক একটি কোটেশন শেখ হাসিনা বলেন, ৭ই মার্চের সেই ভাষণ আজও পুরো বিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সনদ। যা বাঙ্গালির জন্য গৌরবের ইতিহাস। সেই ইতিহাস থেকেই নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করতে অভিভাবকদের আরো উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন সরকার প্রধান। প্রতিটি দিবস সম্পর্কে জানাতে হবে… এর আগে আলোচনা সভার শুরুতেই আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার লেখা, বঙ্গবন্ধু থেকে দেশরত্ন; অনুপ্রেরণার মহাকাব্য বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম থেকে শুরু করে দেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা চ্যালেঞ্জ উঠে এসেছে। বইটির মুখনবন্ধ লিখেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।