পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় আংগারিয়া ইউনিয়নের জলিসা গ্রামে, কার্পেটিং সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের উন্নয়ন বঞ্চিত ৮নং ওয়ার্ডের প্রায়াত সাংবাদিক হাসান আরেফিনের বাড়ি সংলগ্ন মোললা কানদায়, ভগ্নদশার এইচবিবি সড়কে শতাধিক বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ বাসিন্দারা এ মানববন্ধনে অংশ নেয়। এলাকাবাসীর পক্ষে সাবেক ইউপি সদস্য রাজা বরকত উল্লাহ বলেন, বিগত ১৫বছরে ওই ওয়ার্ডের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে কোন কাজ হয়নি। উপজেলা শহর থেকে মাত্র দেড় কি.মিটার দুরত্বের এ ওয়ার্ডটিতে যাতায়াতের একটি মাএ রাস্তা কার্পেটিং করা হয়নি। ২০০৪সালে প্রায়াত সাংবাদিক হাসান আরেফিনের আবেদনে শহীদ মেম্বারের বাড়ী থেকে জলিশা হাজি হাসমত দাখিল মাদ্রাসা হয়ে পাতাবুনিয়া ওয়াপদা পর্যন্ত এইচবিবি দ্বারা উন্নয়ন করে এলজিইডি। এর পরে সড়কটিতে আর কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বর্তমানে সড়কটির হেরিংবন্ড ভেঙ্গেচুড়ে জনচলাচলের অনুপোযুগী হয়ে পড়েছে। ফলে পশ্চিম জলিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জলিশা হাজী হাসমত বালিকা দাখিল মাদ্রাসাসহ ৪/৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারি ও ছাত্রছাত্রী এবং ওয়ার্ডবাসীর নিত্য চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সাংবাদিক হাসান আরেফিনের ছোটবোন অনু মোল্লা বলেন, হেরিংবন্ড রাস্তাটি ভেঙ্গেচুড়ে একাকার ও ইটগুলো খোয়া বের হয়ে যাওয়ায় বেহাল হলেও সংস্কারাভাবে জনচলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তিনি আরও বলেন, আর কোন বিকল্প পাকা সড়ক না থাকায় বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীদের পায়ে হেটে চলাচল করতে হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হলে কিম্বা ডেলিভারি রুগীদের হাসপাতালে পাঠানোর জন্য রিকসা ভ্যান চলাচলের উপযুগী রাস্তা না থাকায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই এসড়কটি জরুরী ভিত্তিতে পাকা করা প্রয়োজন। কিন্ত গত ১৫বছরেও জনপ্রতিনিধি বর্গের দেয়া প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়িত হয়নি। কেউ কথা রাখেনি, তাই অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।একই অভিযোগ, হাজী হাসমত বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওঃ হেমায়েত উদ্দীন বলেন, কয়েকটি স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসীর যাতায়তের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার বিহীন থাকায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। সারাদেশে যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নয়ন হলেও এ ওয়ার্ডের কোন উন্নয়ন হয় না। শীঘ্রই জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য রাস্তাটি পাকা করা দরকার।স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, আসলেই রাস্তাটির অবস্থা খুব খারাপ। এলজিইডির সরকারি রাস্তায় পরিষদ থেকে কোন বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও নেই। যাতে রাস্তাটি পাকা করা যায় সে ব্যাপারে বেশ কয়েকবার চেয়ারম্যানের স্মরণাপন্ন হয়েছিলাম। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা বলেন, উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে রাস্তাটি পাকা করণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। প্রক্কলিত বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কাজ শুরু হবে বলে জানান।