সকালে গণভবনে জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। লিখিত বক্তব্যের পর প্রথমে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম বুলবুল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন সামনে রমজান মাস ,এ মাসে  জিনিসের অভাব হবে না, ইতোমধ্যেই সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মার্চে দুর্ভিক্ষ করার ষড়যন্ত্র ছিল ও আছে। নির্বাচন বন্ধ করা পরিকল্পনা ছিল। নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে ষড়যন্ত্র ছিল দ্রব্যমূল্য বাড়িয় দেশে একটা অস্থিতিশিল পরিবেশ তৈরি করা।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আমরা বার বার কথা বলেছি বিশ্ব নেতৃত্বের সঙ্গে তারা রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি দেখায়, তাদের কে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে খুব কার্যকর কিছু হচ্ছে না।

উরোপের সাথে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল। তারা নির্বাচন নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলে নাই। তারা জানত আমি নির্বাচিত হবো। নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে পাকিস্তানের মত সংকট হয়নি বলেই হয়তো অনেকে মন খারাপ।

ইউক্রেইন ও ফিলিস্তিনের ঘটনাপ্রবাহে ক্ষমতাশালী দেশগুলোর দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা করে আবারও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথম এই সংবাদ সম্মেলনে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কৃষি উৎপাদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন শেখ হাসিনা। 

ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধ তার প্রেক্ষাপটে নিষেধাজ্ঞা এবং গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের প্রভাব বিশ্বব্যাপী পড়ার কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। 

“আর যুদ্ধ বন্ধের কথা যাদেরকে বলি, তারা সমর্থন করে, কিন্তু উদ্যোগটা নেবে কে? যারা বিশ্ব মোড়ল, তারাই যদি যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে যায়,তাহলে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য বলবে কে? তারা নিজেরই তো হোতা।” 

বিশ্ব রাজনীতিতে মধ্যমপন্থী দেশগুলো নিয়ে কোনো মোর্চা গড়ে তোলার পরিকল্পনার বিষয়ে এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই, আমি এই কথাটাই বলি। কিন্তু কোনো প্ল্যাটফর্ম বা এ ধরনের কিছু করবার মত, সেই দক্ষতা আমার নাই, যোগ্যতাও আমার নাই, চিন্তাও আমার নাই। এটাই হলো বাস্তবতা। “আমি মনে করি, আসলে অনেক প্ল্যাটফর্ম হয়ে গেছে, আসলে কোন কাজ হচ্ছে না ,এটাই হলো বাস্তবতা।

গাজায় নারী-শিশুদের হত্যা এবং হাসপাতালে হামলার মধ্যে যুদ্ধের বন্ধের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের ভিটো দেওয়ার প্রসঙ্গও টানেন শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের যুদ্ধ চলার সময় আমরা এটা দেখেছি।” যুদ্ধ কোন সমাধান না , মোরলদের ভুমিকা রাখতে হবে।