ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বহুভাষিকতার প্রচারের জন্য প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে থাকে, এটি ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ তারিখে ইউনেস্কো কর্তৃক প্রথম ঘোষণা এবং ২০০২ সালে জাতিসংঘের প্রস্তাব ৫৬।২৬২(২) গৃহীত হওয়ার মাধ্যমে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের প্রথম ধারনা প্রস্তাব করা হয় বাংলাদেশের উদ্যোগে। ১৬ মে ২০০৭ তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত বিশ্বের জনগণের দ্বারা ব্যবহৃত সকল ভাষার সংরক্ষণ ও সুরক্ষা যা ২০০৮ থেকে আন্তর্জাতিক ভাষার দিন হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৪৮ সালে, পাকিস্তান সরকার উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র জাতীয় ভাষা হিসাবে ঘোষণা করেছিল, যদিও পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের সংমিশ্রণে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাংলা বলতেন। জনসংখ্যার অধিকাংশই পূর্ব পাকিস্তানের এবং তাদের মাতৃভাষা বাংলা হওয়ায় পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ প্রতিবাদ করেছিল। তারা উর্দু ছাড়াও বাংলাকে অন্তত একটি জাতীয় ভাষা করার দাবি জানায়।
সাধারণ জনগণের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা 1952 সালের 21 ফেব্রুয়ারি ব্যাপক সমাবেশ ও সভা সমাবেশের আয়োজন করে যেখানে পাকিস্তান সরকারের অর্ডারে পুলিশ সমাবেশে গুলি চালায়, যার ফল স্বরুপ আবদুস সালাম, আবুল বরকত, রফিক উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল জব্বার ও শফিউর রহমান মারা যান এবং আরো শতাধিক আহত হন। ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা, যেখানে মানুষ তাদের মাতৃভাষার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিল।
ছবি সূত্র : গূগল