অবশেষে একশো নয়দিনের মাথায় কারামুক্ত হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মুক্ত হয়েছেন দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীরও। বিকালে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তারা জামিনে বের হয়ে আসেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের বিএনপির এ দুই নেতার জামিন মঞ্জুর করেন।
গেলো বছরের ২৮শে অক্টোবর, সরকার পতনের একদফার ডাক দিয়ে অনেকটাই কোনঠাসা পরিস্থিতিতে পড়ে যায় বিএনপি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ঐদিন পল্টন ও এর আশপাশ এলাকা রুপ নেয় রণক্ষেত্রে। পুলিশসহ নিহত হয় দুইজন। হামলা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভনের গেটেও। সমাবেশ শেষ না করেই মূল মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। এর মধ্যেই বিএনপি মহাসচিব দেন হরতালের ঘোষণা।
তবে একদিন না যেতেই পল্টনে পুলিশ হত্যা ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় অসংখ্য মামলা হতে থাকে রাজধানীর বিভিন্ন থানায়। পরদিন সকালে রমনা থানায় করা একটি মামলায় গুলশানের বাসা থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। একে একে গ্রেপ্তার করা হয় আরো অনেক সিনিয়র নেতাকে।
মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলাটি একাধারে চারবার জামিন না মজ্ঞুর করে হয় আদালতে। অবশেষে বুধবার বিকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন মঞ্জুর হয় বিএনপির এই দুই নেতার।
জামিনের পরপরই তাদের কারামুক্ত হওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আইনী প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গাড়িতে করে বেড়িয়ে আসেন বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী
কারামুক্ত হয়ে গনতন্ত্রের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব। অন্যদিকে আমীর খসরু অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতা দখল করেও পরাজিত হয়েছে বর্তমান সরকার
প্রায় সাড়ে তিনমাস পর এই দুই নেতা কারামুক্ত হলেও মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির বেশীরভাগ নেতা এখনো কারারুদ্ধ। পাশাপাশি গ্রেপ্তার আতংকে অনেকেই আছেন পলাতক।