বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের ৩৪ নম্বর পিলারে অবিস্ফোরিত রকেট লাঞ্চারের সন্ধান মিলেছে। এতে নতুন করে উতকন্ঠা সীমান্তবাসীদের মধ্যে।

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আরাকান আর্মির লড়াইকে কূটচাল হিসেবে দেখছেন রোহিঙ্গা শীর্ষ নেতারা। আরাকান আর্মির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন না করলেও অধিকার রক্ষায় রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরএসও সংগাম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তারা। থমথমে পরিস্থিতি কক্সবাজারের পালংখালি ইউনিয়নের রহমতের বিল সীমান্তে।বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চলমান অস্থিরতায় সেখানে একটি মরদেহ পড়ে থাকার খবর ছড়িয়ে পড়ে ইউনিয়ন বাসীদের মধ্যে। স্থানীয় উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেনও লাশের বিষয়টি জানতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। সীমান্তে বিজিবির কড়া পাহারা।গ্রামবাসীদের নিরাপদ দূরত্বে রাখার ব্যাপারে সতর্ক তারা। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সংঘর্ষের ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরএসও। শুক্রবার দুপুরে কথা হয় এ সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. জুবাইয়ের এর সাথে। কি ভাবছেন তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে? মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সে দেশের সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মাঝে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত করার নয়া কূটচাল হিসেবে দেখছেন। ভবিষ্যতে মিয়ানমারের রাখাইনে যারাই ক্ষমতায় আসুক; রোহিঙ্গাদের ভিটেমাটি ফিরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে। রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগঠন আরএসও’র সংগ্রাম অব্যাহত আছে।–কুতুপালং ক্যাম্প, কক্সবাজার।