থমথমে পরিস্থিতি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে। সেখানকার টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় আজও গোলাগুলি হয়েছে। আতঙ্ক পিছু ছাড়েনি সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের। কাজে যোগ দিতে না পারায় খোলা আকাশের নীচে অলস সময় পার করছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে দেড়ঘন্টায় অন্তত ১০ রাউন্ড গুলির আওয়াজ পান সীমান্তবর্তী টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার বাসিন্দারা। তাদের অপেক্ষা কখন মাঠেঘাটের কাজে ফিরতে পারবেন? সীমান্তের অস্থিরতা বন্ধের আশায় দিন পার করছেন তারা। সকালে ৯-১০ রাউন্ড গুলি হয়।সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে শনিবার থেকে টেকনাফ_সেন্টমার্টিন নৌ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে করে টেকনাফের দমদমিয়া বন্দরে ভীড় জমান দর্শনার্থীরা। সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে এদিন সকালেই জাহাজে বন্দর ছেড়ে যান তারা। যারা জাহাজ ধরতে পারেন নি সেন্টমার্টিন বেড়ানোর পরিকল্পনা পরিবর্তন করেন তারা। নাফ নদীতে জোরদার করা হয়েছে বিজিবির টহল। চলমান বাস্তবতায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমায় অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি তাদেরও ততপরতা বাড়ানো হয়েছে।
পালিয়ে আসা মিয়ানমার সেনাদের ফেরাতে ঢাকাস্থ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। মিয়ানমারও তাদের ফেরাতে আগ্রহী। প্রক্রিয়া দ্রুতই শুরু হবে। সুবিধাজনক সময়ে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের দ্রুত ফেরানোই লক্ষ্য। সেটা আকাশপথে হোক কিংবা নদী পথে, তা মুখ্য নয়। তবে এখন পর্যন্ত আপডেট, মিয়ানমার জাহাজে করে তাদের সেনাদের ফেরাতে রুট প্ল্যান দিয়েছে। এবং সেটি হবে গভীর সমুদ্র দিয়ে। একটি নিয়মিত বাহিনীর সদস্য হিসেবে বিজিপির সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বিজিবি অস্ত্র জমা রেখেই তাদের আশ্রয় দিয়েছে। এখানে অন্য কোন বিষয় নেই। ইতোমধ্যে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলায় বাংলাদেশ অংশে দুজন নিহত হবার বিষয়ে বাংলাদেশ কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। তবে, নিহতদের ক্ষতি পূরণের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। _পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন মুখপাত্র সেহেলী সাবরিনা।
মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত ৩৩০ জন বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে তুমব্রু থেকে ১০০ জনকে টেকনাফের হ্নীলাতে স্থানান্তর করা হয়েছে।