এখনও থেমে থেমে গোলাগুলির আওয়াজ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায়। আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। বান্দরবানের তুমব্রু, ঘুমধুম এবং আশপাশের সীমান্ত এলাকার নাগরিকদের নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। ।
বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষাবাহিনী বিজিবির সতর্ক পাহারা।
কাঁটাতারের ওপাশে মিয়ানমারের তুমব্রু এবং এরপাশে ঢেঁকিবুনিয়া ক্যাম্প দখলের অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের রেশ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ সীমান্তেও। বুধবার সকাল থেকে তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ না পাওয়ায়, সেখানকার মাঠের কাজে যোগ দিয়েছেন কেউ কেউ, যারা ৪ দিন ধরে পরিবার নিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে গিয়েছিলেন।
এদিন, তুমব্রু এবং ঘুমধুৃম সীমান্ত পরিদর্শন করে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এক সংবাদ সম্মেলনে জানান : ২ জন নারী, ২ জন শিশু এবং বর্ডারগার্ড পুলিশ- বিজিপিসহ মিয়ানমারের ২৬৪ জনকে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এবং তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। তাদের সবাইকে দ্রুত মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে দেশটির ডিফেন্স এটাচের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিজিবি মহাপরিচালক : (গত দুই দিনের তুলনায় আজ সীমান্তে গুলাগুলি কমেছে। তবে নাগরিকদের নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে।)
তিনি জানান : টেকনাফের নদীপথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে ৭৫ জনকে নৌকায় ফেরত পাঠানো হয়৷ আর কোন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।।