আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে, দু’দেশের স্বার্থই আছে এখানে। তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর ম্যাথিউ মিলার বক্তব্যে দু ধরনের কথা বলেছেন। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। এটাও বলেছে বাংলাদেশের প্রতি অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্ক রাখা আমাদের দায়িত্ব। সেখান থেকে সম্পর্ক রাখি এবং সম্পর্ক রাখার অঙ্গীকার আছে এবং সেটা করে যাব। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে তারা আগেও বলেছে। তবে তারা বলেনি নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে। যে মন্তব্য করলে খারাপ কিছুর আশঙ্কা থাকে। সেতু মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে কোন সহিংসতা হয়নি, শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর চেয়ে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন কি হবে আমরা তা জানি না। বিএনপি নির্বাচনে আসলো না তার মানে কি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হলো না? ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা গায়ে পড়ে সম্পর্ক খারাপ করবো না। সম্পর্কটা থাকুক। এখানে আমেরিকারও স্বার্থ আছে, আমাদেরও আছে। এর আগে সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত yao wen সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সড়ক পরিবার ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে। আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্সন নিয়ে চীন ভূমিকা নিতে পারে। ১১/১২ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে। এটা বাংলাদেশের জন্য অতিরিক্ত বোঝা। এমনিতেই বিশ্ব সংকট চলছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আসা সাহায্যও আগের থেকে অনেক কমে গেছে। এত লোককে খাওয়ানো বাংলাদেশের পক্ষে অনেক বড় বোঝা। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করে মিয়ানমার যেন তাদের নাগরিকদের ফেরত নেয় সে বিষয়ে চীন ভূমিকা রাখতে পারে। জবাবে চীনা রাষ্ট্রদূত ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন। বলেছেন, তারা চেষ্টা করবেন এবং সহযোগিতা জোরদার করবেন। মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিমান ও সেতু মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ অচলাবস্থা আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাত, যা রেশ আমাদের সীমান্তে এসে গেছে। গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়। জনমনে আতঙ্ক তো ছড়ায়। যুদ্ধ টা তাদের অভ্যন্তরীন। কিন্তু সীমান্তে গোলাগুলির আওয়াজ আমাদের এখানে যখন চলে আসে স্বাভাবিক কারণে ভয় ভিতিও আসতে পারে। এজন্যে চীনের হস্তক্ষেপ চেয়েছি। সেতু মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে চীন সাপোর্ট করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পালাক্রমে অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভূ রাজনৈতিক কৌশলের কারণে এখানে ভারত ও চীনের একটা শক্তি বলয় আছে। ভারত ও চীনের conflect of interest আছে। এটা তাদের বিষয়। আমরা আমাদের স্বার্থ নিয়ে আছি, আমরা যেন তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্ত না হই। মিয়ানমার সীমান্তে আরাকান আমির সংঘাতে আমাদের কিছু কিছু ক্ষতি তো হচ্ছে। আকাশ সীমা লংঘন হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের চমৎকার সম্পর্ক। এক্ষেত্রে তারা কিছু করতে পারে কিনা বলেছি। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন চীনের অর্থায়নে চলমান মেগা প্রজেক্ট গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বি আর টি প্রকল্প নিযেও কথা হয়েছে।