তাদের প্রতিবেদনে উঠে আশে: নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে দুই বড় দলের বিপরীতমুখী ও অনড় অবস্থানের কারণে অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নির্বাচন হয়নি।**ক্ষমতায় অব্যাহত থাকার কৌশল বাস্তবায়নের একতরফা নির্বাচন সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হয়েছে, যার আইনগত বৈধতা নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ হয়তো হবে না বা হলেও টিকবে না। তবে এ সাফল্য রাজনৈতিক শুদ্ধাচার, গণতান্ত্রিক ও নৈতিকতার মানদন্ডে চিরকাল প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে।** অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষহীন নির্বাচনে সরকার দলের প্রার্থীর সাথে একই দলের ‘স্বতন্ত্র’ ও অন্য দলের সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের পাতানো খেলা সংগঠিত হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গন ও শাসনব্যবস্থার ওপর ক্ষমতাসীন দলের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ চূড়ান্ত প্রাতিষ্ঠানিকতা পেয়েছে এবং ক্ষমতার জবাবদিহিতাহীন প্রয়োগের পথ আরও প্রসারিত হয়েছে।**এবার সংসদে ব্যবসায়ী আধিপত্যের মাত্রাও একচেটিয়া পর্যায়ে বেড়েছে, যা রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডে ব্যাপক স্বার্থের দ্বন্দ্ব ও নীতি-দখলের ঝুঁকি বাড়ালো।**গণতন্ত্রকামী মানুষের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কী করণীয় ও বর্জনীয় তার বিশ্লেষণ, বিশেষ করে- গণতান্ত্রিক অবনমনের অভিজ্ঞতা এবং নির্বাচনী কৌশল ও অভিনবত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেস্ট-কেইস হিসেবে বিবেচিত হবে।** — টিআইবি (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ)।