পুরোদমে চলছে অমর একুশে বইমেলার প্রস্তুতি। কমপক্ষে ২৯ দিনের হবে এবারের মেলা। বিন্যাসে গতবছরের সুবিধাগুলোসহ আরো কিছু নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছে বাংলা একাডেমী। তবে, মেলার আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, এবারই শেষ কি না – সে শঙ্কার প্রভাব সবকিছুতে। মেলার প্রস্তুতি চলমান। অমর একুশে বইমেলা মানে কেবল বইয়ের ঘ্রাণ নয়, তার আগের এ কর্মব্যস্ততাও। বাঙালীর প্রাণের মেলার আমেজ শুরু আসলে এ প্রস্তুতি পর্ব থেকেই। এরমধ্যে মেলার অভ্যন্তরীন কাজগুলো ৭০ ভাগ হয়ে গেছে বলে দাবি মেলার আহ্বায়ক কমিটির। বাকি সময়টিতে অবকাঠামোগত কাজ, অর্থাৎ স্টল-প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজগুলো সামলে নিতে হবে দ্রুত। মুজাহিদ সাহেব সদস্য সচিব বাংলা একাডেমী :দুইজায়গা মিলে ( সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মিলেই বইমেলার ভেন্যু। তবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারের পর আর উদ্যানটিকে মেলায় পাওয়া যাবে না। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই করতে হচ্ছে মেলার বিন্যাস। মুজাহিদ সাহেব বলেন,, (সদস্য সচিব) বাঙালীর সবচে ঐতিহ্যবাহী এ মেলার জন্য পুরো একটি মাস সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন দেয়া যাবে না, সেই প্রশ্ন প্রকাশকদের। সময় প্রকাশন সহ সবাই মিলে মেলার প্রস্তুতি দ্রুত সারতে চান । দেরি মানে শ্রমিকদের দ্বিগুণ খাটুনি, দ্বিগুণ মজুরির চাপ প্রকাশকের। এদিকে, কাগজ ও অনুসঙ্গিক সামগ্রীর দামও এখনো চড়া। ২০২৪ সাল লিপ ইয়ার, তাই বাংলা একাডেমীর মেলার প্রস্তুতি ২৯ দিনের, যদিও প্রকাশকদের চাওয়া- এক এবং দুই মার্চ যেহেতু ছুটি, তাই সে দু’টি দিনসহ চলুক অমর একুশে বইমেলা।